মাস্ক না পরায় প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা

বিধি ভেঙে পার পেলেন না স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। মাস্ক না পরায় জরিমানা দিতে হল প্রধানমন্ত্রীকে। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, মাস্ক না পরার ‘অপরাধে’ জরিমানা গুণতে হল তাঁর সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজনকে।

দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বেশ কড়া। আইন ভাঙলে যে ভিভিআইপিদেরও রেয়াত করা হবে না তা সাফ বুঝিয়ে দিল বুলগেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে বুলগেরিয়াতেও। সেই কারণেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সে দেশে। মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখলেই জরিমানা করা হচ্ছে আইনভঙ্গকারীদের।

প্রধানমন্ত্রী হোন কিংবা আমজনতা। আইন যে সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য তারই প্রমাণ মিলল বুলগেরিয়ায়।

মাস্ক না পরে বেরনোয় এবার জরিমানা দিতে হল বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসোভকে। স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার জন্য তাঁকে ১৭৪ ডলার জরিমানা করেছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, মাস্ক না পরার ‘অপরাধে’ তাঁর সঙ্গীদেরও জরিমানা করা হয়েছে। বুলগেরিয়ায় করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় সেদেশে মৃতের সংখ্যা ২০৭।

তবে সংক্রমণে লাগাম টানতে তৎপর সরকার। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের নাগরিকদের মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছিল বুলগেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিরিল আনানিয়েভ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নজর ছিল ভিভিআইপিদের ওপরও।

তবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই যে আইন ভেঙে জরিমানা দিতে বাধ্য হবেন, তা ভাবা যায়নি। রাজধানী সোফিয়ার একটি গির্জায় সপারিষদ বেড়াতে গিয়েছিলেন বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

কারও মুখেই ছিল না মাস্ক। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে বলা হয়েছে তাঁর সঙ্গে থাকা প্রত্যেককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *