চাঁদের মাটিতে প্রথম পা দেবেন কোনও মহিলা, থাকবেন সাত দিন
নাসার চন্দ্র-অভিযানের ৫০ বছর পেরিয়েছে সদ্য। সেই ৫০ বছরের মাথাতেই ইসরোর তরফে পাঠানো চন্দ্রযান উড়ে গিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর দিকে। এ বার সেই দক্ষিণ মেরুতেই মহিলা নভশ্চর পাঠানোর কথা ঘোষণা করল নাসা। সব ঠিক থাকলে, ২০২৪ সালেই অভিযাত্রীদের নিয়ে চাঁদে পৌঁছবে আর্তেমিস।
১৯৬৯ সালের এই জুলাই মাসেই প্রথম অভিযাত্রী চন্দ্রপৃষ্ঠে নেমেছিল নাসার অ্যাপোলো ১১। তার পরে ৫০ বছর পেরিয়েছে। সূর্যের দেবতা অ্যাপোলোর পরে এ বার চাঁদের দেবী আর্তেমিস পাড়ি দেবেন চাঁদে।
নাসার পাঠানো অ্যাপোলো থেকে নেমে সেই বার চাঁদের মাটিতে হেঁটেছিলেন দুই মহাকাশচারী, নীল আর্মস্ট্রং আর এডউইন অলড্রিন। অ্যাপোলোতে ছিলেন আরও এক অভিযাত্রী, মাইকেল কলিন্স।
অর্থাৎ তিন জনেই পুরুষ। কিন্তু এই বার, এই প্রথম, চন্দ্রপৃষ্ঠে হাঁটবেন এক মহিলা মহাকাশচারী। আর চাঁদে প্রথম মহিলা অভিযাত্রী নিয়ে অবতরণ করতে চলা এই চন্দ্রযানের নামকরণ করা হয়েছে চাঁদের দেবী আর্তেমিসের নামে।
গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, অ্যাপোলো আর আর্তেমিস দুই যমজ ভাইবোন। দু’জনেই গ্রিক দেবতা জিউসের সন্তান। অ্যাপোলো হলেন সূর্য, আলো ও জ্ঞানের দেবতা। আর আর্তেমিস চাঁদ ও বন্যপ্রাণীর দেবী। চাঁদে প্রথম মহিলা অভিযাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার এই অভিযানের নাম তাই দেওয়া হয়েছে সেই দেবী আর্তেমিসেরই নামে।
২০২৪ সালে চাঁদে প্রথম মহিলা অভিযাত্রীকে পৌঁছে দেওয়া নিয়ে নাসার পরিকল্পনার কথা দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায় সেই তরুণী মহাকাশচারীর বাড়ি, পরিবার, বয়স সংক্রান্ত তথ্যও ঘোরা-ফেরা করছিল বিভিন্ন মাধ্যমে।
যদিও নাসার তরফে সরকারি ভাবে এই ব্যাপারে এত দিন কিছুই জানানো হয়নি। এই প্রথম আর্তেমিস-৩ অভিযানের কথা ঘোষণা করল নাসা। তারা জানিয়েছে, এই আর্তেমিসই তাদের মঙ্গলে মানব অভিযাত্রী পাঠানোরও পথ দেখাবে।
আর্তেমিস অভিযানেই প্রথম কোনও মানব অভিযাত্রী নামবেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। জানা গেছে, যেখানে ইসরোর চন্দ্রযান-২ নামবে এই বছর, তারই কাছাকাছি কোনও এলাকায়।
নাসা সূত্রের খবর, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর শ্যকলেটন নামের একটি ক্রেটারে নামতে পারে আর্তিমিস-৩ অভিযানের রোভার, যার নাম অরিয়ন।