নাক দিয়ে বাঁশি বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন লাহা উদ্দিন
মানুষ জীবন ধারনের জন্য কত রকমের পেশা বেছে নেয়। তিনিও বেছে নিয়েছে ভিন্ন রকমের এক পেশা। বাঁশিই তার জীবিকার উৎস। বাঁশি বাজিয়ে বাঁশি বিক্রি করেন। বাঁশি শুনিয়ে আয় করেন। এটাই তার পেশা। মানুষ সাধারণত মুখ দিয়ে বাঁশি বাজায় কিন্তু এই বংশিবাদক বাঁশি বাজায় নাক দিয়ে।
নাম লাহা উদ্দিন (৪৫)। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা। ৩০ বছর ধরে নাক দিয়ে বাজিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে তার বাঁশি বিক্রি করেন।
বাঁশি তার সব। সংসার চলে বাঁশি বিক্রি করে। আয়ের পথকে এগিয়ে নিতে বাজান বাঁশি। তবে তার বাঁশি বাজানোর পদ্ধতি একটু ভিন্ন। মুখের মতো নাক দিয়েও সুর তুলেন বাঁশিতে। বিমোহিত করেন শ্রোতাদের। অভাবের কারণে লেখা পড়া তেমন করতে পারেননি।
৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ হয়েছে। বাবা মারা যাবার পর সংসারের হাল ধরতে বেছে নেন বাঁশি বিক্রির পেশা। দেশের বিভিন্ন জেলার হাটবাজার ও বাণিজ্যিক এলাকা ঘুরে ৩০ বছর ধরে বাঁশি বাজান আর বিক্রি করেন।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নাক ও মুখ দিয়ে আলাদা আলাদা সুরে বাঁশি বাজান। ক্রেতারা জড়ো হলে বিক্রি করেন বাহারি নামের বাঁশি। মোহন, আর, বিন, নাগিনী, খিলা বিভিন্ন নামের বাঁশি রয়েছে তার কাছে। বাঁশি বিক্রির সময় একবার সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়েছিলেন। এতে মেরুদণ্ডের হাঁড়ের সমস্যায় ভুগছেন গত ৬ বছর ধরে।
লাহা উদ্দিন জানান, খুব ছোট বেলায় তার বাবার কাছ থেকে বাঁশি বাজানো শিখেন। এরপর সংসারের হাল ধরতে বাঁশিকেই সম্বল হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন। কখনও বাঁশি বাজিয়ে কখনও বাঁশি বিক্রি করে চলে তার সংসার।
তিনি আরও জানান, আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হতো। এখন তেমন ডাক পান না। তবে বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে বিক্রি করেন বাশি। তিনি কুমিল্লা ও চট্রগাম থেকে বাঁশি সংগ্রহ করেন বলেও জানান।