করোনা আক্রান্ত বাবার মুখে পানি দিতে যাচ্ছে মেয়ে, ভয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন মা!
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাভিশ্বাস উঠছে গোটা ভারতের। হাজারে হাজারে মানুষ প্রত্যেকদিন সংক্রমিত হচ্ছে।
হাসপাতালে বেড নেই, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে অজস্র মানুষ মারা যাচ্ছেন। কবরস্থানে, শ্মশানে উপচে পড়ছে মৃতদেহ। তবু সৎকার করার কেউ নেই। সংবাদ মধ্যমের পাতায় একেরপর এক ভেসে আসছে হৃদয়বিদারক নানা চিত্র।
কোথাও স্বামীর দেহ আকড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী, কোথাও বা ছেলেকে ফিরিয়ে না আনতে পারার বুকফাটা আর্তনাদ মায়ের। কোথাও বা চরম আমানবিকতার ছবি উঠে আসছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে।
এবারের মর্মান্তিক চিত্রটি ভারতের তেলেঙ্গানার শ্রীকাকুলামের। সম্প্রতি সেখানকার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে করোনা রোগীর সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করছেন স্থানীয় মানুষজন।
দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধ বাবাকে একটু পানি দিতে ছুটে যাচ্ছে তাঁর কিশোরী মেয়ে। কিন্তু ভাইরাস থেকে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে তাকে সেই কাজে বাধা দিচ্ছেন খোদ মা। স্বামীর কষ্ট চোখে দেখেও মেয়েকে আগলে রাখার তাগিদেই এমন কাজ করছেন ওই নারী।
জানা গেছে, সম্প্রতি বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি বিজয়ওয়াড়া থেকে করোনা পজিটিভ হয়ে শ্রীকাকুলামে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে গ্রামে ঢুকতে দেয়নি গ্রামবাসী।
গ্রামের বাইরে একটি ছোট্ট কুঁড়েঘরে রেখে দেওয়া হয়েছে ওই করোনা রোগীকে। জনৈক এক গ্রামবাসীর করা ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন ওই ব্যক্তি।
করোনা আক্রান্ত বাবাকে একটু পানি খাওয়াতে যাচ্ছে ১৭ বছরের কিশোরী। কিন্তু তার মা যেতে বাধা দিচ্ছে তাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত বাবাকে পানি খাওয়াতে সফল হয় মেয়ে।
এর কিছুক্ষণ পরেই মারা যান ওই ভদ্রলোক। গোটা পরিবারের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।