‘সময়’মতো খাবার খেলে যেসব উ’পকার হয়’

খাওয়ার সময় কখনো অ’নিয়মিত করা যাবে না। কারণ, এতে যেমন পৌ’ষ্টিকতন্ত্রের একাধিক সম’স্যা দেখা দেয় ঠিক তেমনি দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে শরীরে বাসা বাধতে পারে একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগব্যাধি।

 

 

দৈনন্দিন কাজের চাপে সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করার কথা মাথায় থাকে না অনেকেরই। অথচ একটু সচেতন হয়ে সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করার রয়েছে হাজার গুণ।

 

 

১। বিপাক হার খাবারের সময় বি’পাককে   প্রভাবিত করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দারুণ সক্রিয় থাকে দেহের বিপাক প্রক্রিয়া। ফলে সকালে দ্রুত জলখাবার খেলে বিপাক প্রক্রিয়াটি আরও ভালো হয়।

 

 

তা ছাড়া রাতে ঘুমের পর দীর্ঘ সময় খালি থাকে’ পেট।   তাই সকালে বিপাকের জন্য জ্বালানি হিসেবে খাদ্যকণার প্রয়োজন মেটাতে পারলে চা’ঙ্গা হয় শ’রীর। দিন গড়ানোর স ঙ্গে স ঙ্গে মৌল বিপাক বা মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায় এবং এই কারণেই রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার করাও গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

২। দুটি খাবারের মধ্যে আদর্শ ব্যবধান যেকোনো খাবার পুরো’পুরি হজম করতে মানুষের শরীর কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় নেয়।

 

 

অর্থাৎ যেকোনো দুটি খাবারের মধ্যে সম’য়ের ব্যবধান ৪ ঘণ্টার বেশি হতে হবে। এর চেয়ে কম ব্যবধানে খেলে অতিরিক্ত খাবারের দরুণ বদহজম এবং এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।

 

 

 

 

৩। সক্রিয়তা বজায় রাখা কাজ করার জন্য দরকার শক্তি আর পর্যাপ্ত খাদ্যই আমাদের সেই প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। স্বাভাবিকভাবেই সময়মতো না খেলে প্রতিদিনের কাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা অস’ম্ভব হয়ে উঠতে পারে।

 

 

৪। বডি সাই কেল খাবার খাওয়ার স’ঙ্গে ওতপ্রোত’ভাবে জড়িয়ে আছে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম। সময়মতো না খেলে সময়মতো ঘুমাতে যাওয়াও অসম্ভব। দেহের স্বাভা’বিক দৈনন্দিন কার্যপদ্ধতি বজায় রাখতে হলে জেগে থাকা ও ঘুমের এই চক্রটিকে সঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

 

৫। সময়সূচি নির্মাণ শারীরিক উপকারের বাইরেও প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়ার অভ্যাস একটি নির্দি’ষ্ট রুটিন তৈরি করতে সহায়তা করে।

 

 

ফলে যারা অফিস কিংবা বাড়ির কাজের মধ্যে নিজের জন্য সময় বের করার অ’নবরত চেষ্টা করছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস তাদের অনেকটাই সহায়তা করতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *