‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন তামিম’

‘নিজের ভেরিফাইড পেজে তিনি লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অবশেষে বিদায়ই বললেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রবিবার (১৬ জুলাই) উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ওয়ানডে অধিনায়ক।

 

 

নিজের ভেরিফাইড পেজে তিনি লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।”

 

 

 

তামিম জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। গত অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণার আগেই তরুণদের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম। তারপরও টি-টোয়েন্টিতে তামিমের ফেরা নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হচ্ছিল।

 

 

এ কারণে গত ২৭ জানুয়ারি বিপিএল চলাকালীন হুট করেই চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে স্বেচ্ছায় বিরতিতে যান তামিম। চলতি মাসের ২৭ তারিখে ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

 

 

তার আগেই ওয়ানডে অধিনায়ক কুড়িওভার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালেও তামিম রহস্যজনক একটি পোস্ট করেছিলেন। অবশ্য পোস্টটি খুব বেশিক্ষণ রাখেননি। ৪ জুলাই সকালে মাত্র দুই শব্দে তামিম লেখেন, “আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।“

 

 

এর সঙ্গে জুড়ে দেন হাত নাড়ানোর তিনটি ইমোজি। এই ইমোজির অর্থ দুই রকমই হয়- স্বাগত জানানো কিংবা বিদায় জানানো। গত ৫ জুন তামিমের টি-টোয়েন্টিতে ফেরার প্রশ্নে উঠলে বিরক্ত কণ্ঠে তামিম জানান, ‍‍ ‍“টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমাকে তো বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়।

 

 

ওটাই চলতে থাকুক। এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলি, এতটুকু ডিজার্ভ করি, কী চিন্তা করি না করি আমার মুখ থেকে শোনা। হয় আপনারা একটা ধারণা দিয়ে দেন বা অন্য কেউ এসে বলে দেয়।

 

 

 

যখন বলেই দেয় আমার এখানে বলার নেই আর।” গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিরতির ঘোষণা দেন এই ওপেনার। সেই বিরতির মেয়াদ ছিল ছয় মাস। বিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৭ জুলাই।

 

 

 

এখন পর্যন্ত ৭৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১টি সেঞ্চুরি এবং ৭টি হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ১,৭৫৮ রান করেছেন তামিম। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ওমানের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১০৩* রান করেছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *