সাব্বির-সাইফউদ্দিনকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণা

সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বা’দ দিয়ে বাংলাদেশের চূ’ড়ান্ত বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ১৫ জনের স্কোয়াডে তাদের স্থলাভিষি’ক্ত হয়েছেন সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলাম।

আইসিসির বেঁ”ধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে দিতে হতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড। তার একদিন আগেই শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) নিজেদের চূড়ান্ত দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা’র কাছে পাঠাল বিসিবি। অবশেষে গু”ঞ্জ”নই স’ত্যি হলো।

 

বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডে শেষ পর্যন্ত নিজেদের জায়গা ধ রে রাখতে পারেননি পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ব্যাটার সাব্বির রহমান। ই’নজু’রির কারণে গত বিশ্বকাপের পর থেকেই দলের বাইরে ছিলেন সাইফউদ্দিন।

সুস্থ হওয়ার কয়েক মাস পরেও তিনি ছিলেন বিশ্রামে।টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেয়ে তাকে দলে ফিরিছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে ত্রিদেশীয় সিরিজ; কোথাও অধিনায়কের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি সাইফউদ্দিন।

ব্যাট করার খুব বেশি সুযোগ না পেলেও, বল হাতে সুযোগ পেয়েও করেছেন হ’তাশ। সবশেষে ত্রিদেশীয় সিরিজেও সবচেয়ে খরুচে বোলার তিনি। আস্থা হারিয়ে সাইফউদ্দিন আবার তাই ছি”টকে গেলেন স্কোয়াড থেকে।

অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নিয়মিত ওপেনারদের ব্য”র্থতার কারণে ‘মেকশিফট’ ওপেনার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান।

 

কিন্তু চার ম্যাচ খেলে একটিতেও নিজের যোগ্য তার প্রমাণ দিতে পারেননি তিন বছর পর দলে ফেরা এ ব্যাটার। চার ম্যাচে সবমিলিয়ে তার রান ২৯ রান। সর্বোচ্চ ১৪। অনেক পরীক্ষা-নিরী’ক্ষা শেষেও টিম ম্যানেজমেন্ট সাফল্য না পেয়ে আবার নিয়মিত ওপেনারেই ফিরে গেছে।

যার কারণে কপাল পুড়েছে সাব্বিরের। দুজনের স্থ’লাভি’ষিক্ত হয়েছেন পে’সার শরিফুল ইসলাম ও অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। শরিফুল অনেকদিন ধরেই দলের  সঙ্গে নিয়মিত। তার স্কোয়াডে ফেরা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল।

কিন্তু একমাস আগে যখন প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছিল তখন ই’ন’জুরি থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। যার কারণে তাকে রাখা হয়েছিল রি’জার্ভে। আর এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে ত্রিদেশীয় সিরিজের দুটি ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য।

তবে তিনিও খুব বেশি আশার আলো দেখাতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে ২৩ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন মাত্র ৪ রান। তবে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি  বোলিংয়ে অবদান রাখতে পারবেন এ বিবেচনায় তাকে ফেরানো হয়েছে মূল স্কোয়াডে।

 

 

পাকিস্তানের বিপক্ষে যখন সাইফউদ্দিন বেশ খরুচে ছিলেন তখন এক ওভার বল করে মাত্র ৬ রান খরচায় তিনি তুলে নেন একটি উইকেট। এদিকে ধারাবাহিকভাবে ব্য”র্থ হলেও নাজমুল হোসেন শান্তর ‍ওপরেই ভ’রসা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

ফর্ম হারানো মুস্তাফিজের স্থলাভি’ষিক্ত হতে পারেননি অন্য কোনো পে’সার। ইয়াসির আলীও সুযোগ পাচ্ছেন নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার।

বাংলাদেশের পরিবর্তিত স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, কাজী নুরুল হাসান

সোহান (সহ অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাসুম আহমেদ। স্ট্যান্ডবাই- মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাব্বির রহমান, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *