ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’: সিআইএ প্রধান
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলেছেন, মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। এসব হামলা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রভাবকে খাটো করে দেখে মার্কিন গোয়েন্দাদের প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পর সিআইএর পরিচালক এ কথা বলেন। প্রতিবেদন ফাঁসের ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জন র্যাটক্লিফ বলেছেন, মার্কিন হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও তিনি তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি ‘পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে’ বলতে অস্বীকৃতি জানান।
ফাঁস হওয়া ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মার্কিন হামলার পরও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অক্ষত থাকার কথা বলা রয়েছে। প্রতিবেদন ফাঁস ও এটা নিয়ে ট্রাম্পের কড়া প্রতিক্রিয়ার এক দিন পর সিআইএর পরিচালক বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘নিশ্চিহ্ন’ করা হয়েছে।
ট্রাম্প বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে প্রতিবেদন ফাঁসের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন। বলেন, ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানো সংবাদমাধ্যমগুলো ‘মিথ্যা প্রচার করেছে এবং সম্পূর্ণরূপে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। তাদের কাছে এর কোনোটিই ছিল না’।
গত ১৩ জুন ইরানে ব্যাপক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলি সরকার। হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যা করে দখলদার বাহিনী। এছাড়া বিভিন্ন প্রদেশের পারমাণবিক, সামরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামো এবং আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে বোমা হামলা চালায়।
ইসরাইলি হামলার জবাবে তেল আবিবে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। দুদেশের মধ্যে হামলা-পালটা হামলার মধ্যেই গত রোববার ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার রাতে কাতারের দোহায় মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।
এরপরই যুদ্ধবিরতির কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ভোরে তিনি ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কথা জানান।

