‘প্রতিদিন একজনের ৮০০ ডলারের অক্সিজেন লাগে’

পরিবেশ দূ’ষণমু’ক্ত রাখতে শি’ক্ষক ও শি’ক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেন, একজন মানুষ প্রতিদিন ৫৫০ লিটার অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকলে ওই হিসাব অনুযায়ী ৮০০ ডলার লাগে প্রতিদিন। সে কারণেই প্রত্যেকের পরিবেশ সুন্দর রাখার ব্যবস্থা করা উচিত।

শনিবার রাজধানীর নটরডেম কলেজে নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব আয়োজিত ‘প্রতিদিন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভা’লোবাসুন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে

এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিবেশটাকে সুন্দর রাখা দূ’ষণমু’ক্ত করে তোলা, নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব এই বার্তাটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

প্রকৃতি, বন, পরিবেশ এই নিয়েই আমাদের জীবন। আমরা বাতাসের মধ্যে থাকি কিন্তু বাতাস য’ত’ক্ষ’ণ ব”ন্ধ না হয় ততক্ষণ আমরা টের পাই না।

আমরা এতো পারমাণ’বি’ক অ”স্ত্র তৈরি করে ফেলেছি যে সারা বিশ্ব’কে ব’হুবার ধ্বং”স করে দেয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু জীবনের জন্য অত্যা’বশ্যক অ’ক্সি’জে’ন’ তৈরি করতে পারিনি।’

তিনি বলেন, আমরা ভাবতে পারি প্রতিদিন যে অক্সি’জেন আমরা বিনা পয়’সায় পে’য়ে যা’চ্ছি, তা কিন্তু প্রকৃতি আমাদের দিচ্ছে। একইসাথে গাছের কথা বলি— গাছ শুধু অক্সিজেন দিচ্ছে তাই নয়, ‘কার্ব’ন’ডা’ই অক্সা”ইডও দিচ্ছে।

তাহলে এর চেয়ে প’রম ব”ন্ধু আর কে হতে পারে? বলা হয়ে থাকে খাবার না খেয়ে ২১ দিন থাকা যায়, পানি পান না করে দিন তিনেক থাকা যায়, কিন্তু   অ”ক্সিজেন ছাড়া মিনিট তিনেক আ’মরা শ্বা”স-প্রশ্বা”স ছা’ড়া বেঁ”চে থাকতে পারবো না, কতজন তা মনে করে গাছ লাগাই?

আমরা প্রতিদিন ৮০০ ডলার মূল্যের অক্সি জেন গ্রহণ করছি। সে কারণেই গাছের যত্ন নিতে হবে। একইসাথে পানির যে আধার পুকুর, নদী, খালসহ যেসব জ’লাধার আছে সেগুলোরও যত্ন নিতে হবে।

আমরা খুবই বেখেয়ালিভাবে যত্রতত্র আব”র্জনা ফেলি, সেগুলো আবার আমাদেরই তৈরি। সঠিক ব”র্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা কেউ ভাবি না। প্রত্যেকে যদি নিজের ‘ময়লাটা সঠিক জাগায় ফেলে তাহলে পৃথিবীতে একটি বিশাল কাজ হয়ে যায়।

আমাদের কারো দরকার নেই অন্য আরো ১০ জনের ম’য়লা ফেলা, নিজে যেটুকু তৈরি করছি সেটুকুই সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করি, তাহলেই হয়ে যায়।

একইভাবে গাছের ক্ষেত্রেও আমরা যতটুকু অক্সি’জেন গ্রহণ করি ততটুকুর জন্য চে”ষ্টা করি। উল্লেখ্য, ‘প্রতিদিন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালো’বাসুন’

এই স্লোগান নিয়ে নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *