ঘূর্ণিঝ.ড়ে বি’দ্যুৎহীন ৮০ লাখ গ্রাহক

ঘূ’র্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বি’দ্যুৎ বিতরণ লাইনে ব্যা’ঘাত ঘটার কারণে ৮০ লাখ গ্রাহক বর্তমানে বি’দ্যুৎ সেবার বাইরে রয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যে এ সমস্যার  সমাধান হয়ে যাবে, শতভাগ গ্রাহক বি’দ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন বি’দ্যুৎ জ্বা’লানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

ঘূ’র্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এদিকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে সিত্রাংয়ে আট জেলায় ১৪ জনের মৃ”ত্যু হয়েছে।

রাজধানীর অন্তত দুই শতাধিক স্থানে গাছ ভে’ঙে সড়কে পড়েছে। এতে যান চলাচল বি’ঘ্নিত হচ্ছে। ঘূ’র্ণিঝ’ড় সিত্রাংয়ের কারণে কত গ্রাহক এখন বি’দ্যুৎবি’চ্ছিন্ন- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রায় ৪ কো’টি ৮০ লাখের মতো গ্রাহক।

 

এখন প্রায় ৮০ লাখ গ্রা’হক বি’দ্যুৎ’বিচ্ছিন্ন আছে। আরইবি (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড)-এর ৮০০-এর বেশি পোল ক্ষ’তিগ্র’স্ত হয়েছে। পিডিবিসহ সব মিলিয়ে প্রায় দেড়-দুই হাজার পোল ক্ষ’তিগ্র’স্ত হয়েছে।

আমরা আশা করছি আজ বিকেলের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহকের বি’দ্যুতের ব্যবস্থা করতে পারবো। তিনি বলেন, ট্রান্সমিশনের আমাদের খুব বড় রকমের আ’ঘাত হয়নি। বড় ধরনের আ’ঘাত হয়েছে ডি’স্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে।

সেখানে তার ছিঁ’ড়ে গেছে। গাছ উপড়ে গিয়ে লাইনের ক্ষ’তি করেছে। অনেক জায়গায় পোল (বি’দ্যুতের খুঁটি) পড়ে গেছে, ভে’ঙে গেছে। প্র’চুর জায়গায় স’মস্যা দেখা গেছে।

 

তার ছিঁ’ড়ে যাওয়ার কারণে সে এলাকায় আমরা বি’দ্যুৎ সম্পূর্ণ ব’ন্ধ রেখেছি। এ’ক্সিডেন্ট হওয়ার আশ’ঙ্কা থাকে, সম্পূর্ণভাবে ঠিক না করা পর্যন্ত আমরা বি’দ্যুৎ চালু করবো না।

সম্পূর্ণ সমাধান হতে কতোদিন লাগবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল দু’পুরের মধ্যে শ’তভাগ গ্রাহককে বিদ্যু’ৎ সরবরাহ করতে পারবো বলে আশা করছি। আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন,

বিশেষ করে আরএডি ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকেই সজাগ ছিলো। এখন ২৪ ঘণ্টা তারা কাজে নিয়োজিত আছেন, বিশেষ করে আরএডি এবং পিডিবি। ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম,

লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীতে ব্যাপক ক্ষ’তিগ্র’স্ত হয়েছে বলেও জানান প্রতি’মন্ত্রী। কি পরিমাণ অর্থের ক্ষ’তি হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকার অংক এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আছে।

 

সে বিষয়টি আমরা এখন বলতে চাই না। বেশ ক্ষ’তি হয়েছে। বিশেষ করে সাব’স্টেশনগুলোতে পানি উঠে গেছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা না’গাদ

বাংলাদেশের উপকূলে আ’ঘাত শুরু করে সিত্রাংয়ের অগ্রবর্তী অংশ। আর রাত ১০টা নাগাদ ঝ’ড়টির কেন্দ্র উপকূল পেরিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। পরে সিলেট ও কুমিল্লা হয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *