ঘর থেকে গৃহবধূর ম’রদেহ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়ি প’লাতক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক’সবা উপজেলায় স্বা’মীর মা’ন’সি’ক নি”র্যাতন স”হ্য করতে না পেরে রেশমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহ’বধূর আ”ত্ম’হ”ত্যা’র ক’রেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ম”র’দে”হ ম’য়’না’ত’দ’ন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে তার স্বা’মীসহ শ্ব’শুরবাড়ির লোকজন প’লা’তক আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কসবা উপ’জেলার মেহারী ইউনিয়নের চৌবেপুর গ্রামের শু’টকি ব্য’বসায়ী আলমগীর মিয়ার একমা’ত্র মেয়ে রেশমা আক্তার।
প্রায় দুবছর আগে পারিবারিকভাবে খা’ড়েরা ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামের খায়রুল ইসলামের স”ঙ্গে বিয়ে হয়। খায়রুল গাজীপুরে একটি প্লা”স্টিক কার’খানায় কাজ করেন। বিয়ের পর পরই খায়রুল রেশমাকে এড়িয়ে চলতেন।
তার পরিবারের কয়েকজন জানিয়েছিল, খা’য়রুলের মতের বাইরে রেশমাকে বিয়ে করিয়েছিল পরিবার। তাই সে রেশমাকে মেনে নিতে পা’রেননি। সে বাড়িতে না এসে অধিকাংশ সময় গাজীপুরে থাকতেন। রেশমার সঙ্গে খা’রাপ আ’চরণ করতেন।
তাদের ‘সম্পর্ক ভালো করতে খায়রুলের গাজীপুরের বাসায় রেশমাকে পাঠালেও পাত্তা দিতেন না। বরং বাসায় রেশমাকে একা ফেলে তিনি রাতে ফেরেনি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ম’নোমালিন্য চলে আসছিল।
এসব বিষয় নিয়ে মেহারী ও খা’ড়েরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সা’লিশ করে দুজনকে মিলি’য়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ সম্পর্ক বেশিদিন ভালো যায়নি। রেশমা আক্তারের মামা আনোয়ার হোসেন ও ফুফা আব্দুল আলীম অভিযোগ করে জানান, ৬ অক্টোবর ছুটিতে বাড়িতে আসেন খায়রু’ল।
রোববার ভোরে ঘরে থাকা কী”ট’নাশ’ক সেবনে অ’সু’স্থ হয়ে পড়েন রেশমা। এ অবস্থায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ রেশমাকে হাসপাতালে নিয়ে যা’ননি। রেশমা মা”’রা গেলে খায়রুলসহ তার পরিবারের লোকজন পা”লিয়ে যান।
খবর পে’য়ে খালি বাড়ি থেকে রেশমার ম”র’দে”’হ উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে মেহারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,
আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ছে’লেটিকে বুঝিয়ে যেন সংসারটি টিকে। তারা মেনেও নিয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে আবার অবহেলা করেছে। ক’সবা থানা
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ম”রদে’হ ময়নাতদ’ন্তের জন্য হাসপাতাল ম”র্গে পাঠানো হয়েছে।