মেধাবী স্বর্ণার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক
মাত্র পাঁচবছর বয়সে বাবা-মাকে হা’রিয়ে বিধ’বা ফু’ফুর কাছে বড় হওয়া মেধা’বী ছাত্রী সাদিকা রহমান স্বর্ণার পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, এসএস’সি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী ছাত্রী স্ব’র্ণা এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। স্বর্ণা জেলা প্রশাসক বরাবরে পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন।
এরপরেই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার মেধাবী’ ‘শি’ক্ষার্থী স্বর্ণার লেখাপড়ার সকল দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা করেছেন। তাৎক্ষনিক স্বর্ণার হাতে নগদ ১৭ হাজার তুলে দেয়া হয়।
সূ’ত্রমতে, স্বর্ণার বয়স যখন একবছর তখন তার বাবা হৃ’দরো’গে আক্রা’ন্ত হয়ে মৃ’ত্যুব’র’ণ করেন। পাঁচবছর বয়’সে ক্যা’ন্সার আ’ক্রা’ন্ত হয়ে ‘স্ব’র্ণার মা মার যায়।
স্বর্ণার বড় বোন বানারী পাড়ার চাখার ফজলুল হক কলেজ থেকে চলতি বছর অ’নার্স শেষ করেছেন। দুই বোন তাদের বাবা ও মাকে হা’রিয়ে ফুফু মিনারা বেগমে’র কাছে বড় হন।
নগরীতে বস’বাস করা মিনা রা বি’ধবা। তার কোন সন্তান নেই। স্বামীর মৃ’ত্যুর পর ভাই’য়ের দুই মেয়েকে নিজের মেয়ের মতো মনে করে মিনারা তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন।”